কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশিরা কোন পথে যাবে?
সম্প্রতি ভারতে মোদী সরকারের কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের জেরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের মনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে ।
এই ক্ষোভের আগুন বাংলাদেশেও ছেঁয়ে গেছে সন্দেহ নেই । কিন্তু এই ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষরা মূলত ৩ ভাগে ভাগ হয়ে গেছে ।
১- এই দেশের হিন্দুরা মূলত মোদী সরকারকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছে ।
২- ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পরছে ।
৩- আর একদল মানুষ আছে যাদের মনে কাশ্মীর ইস্যু কোন প্রভাব ফেলে নি। তারা আসলে দুনিয়া নিয়ে চিন্তিত নয়। তাদেরকে আত্মকেন্দ্রিক বলা যায় ।
এখন প্রশ্ন হল সাধারণ মানুষ কোন পথে যাবে ?
হিন্দুদের মনোভাবঃ
বাংলাদেশের হিন্দুরা অবশ্য কোন পক্ষে অবস্থান নিবে তা নিয়ে দ্বিধা দন্দে নেই। তারা কোন যুক্তি ছাড়াই ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে । এর পেছনে একটি কারন হল হিন্দুরা বাংলদেশকে সেকেন্ড হোম মনে করে আর ভারতকে ফার্স্ট হোম । ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অনেক হিন্দুকেই দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে। হিন্দুরা বাংলাদেশে থাকলেও তারা ভারতের স্বার্থ সব সময় রক্ষা করে চলে। কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে ভারতের পক্ষে আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাদের ফেসবুক পোস্টই প্রমান করে তাদের মুসলিম বিদ্ধেষ।
মুসলিমদের গন্তব্যঃ
হিন্দুদের মনোভাবঃ
বাংলাদেশের হিন্দুরা অবশ্য কোন পক্ষে অবস্থান নিবে তা নিয়ে দ্বিধা দন্দে নেই। তারা কোন যুক্তি ছাড়াই ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে । এর পেছনে একটি কারন হল হিন্দুরা বাংলদেশকে সেকেন্ড হোম মনে করে আর ভারতকে ফার্স্ট হোম । ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অনেক হিন্দুকেই দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে। হিন্দুরা বাংলাদেশে থাকলেও তারা ভারতের স্বার্থ সব সময় রক্ষা করে চলে। কাশ্মীর ইস্যুতে বাংলাদেশের হিন্দুরা যে ভারতের পক্ষে আছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তাদের ফেসবুক পোস্টই প্রমান করে তাদের মুসলিম বিদ্ধেষ।
মুসলিমদের গন্তব্যঃ
এই ইস্যুতে মুসলিমদের মূলত তাদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করা উচিত । তাই মুসলিমদের মূলত কাশ্মীরীদের পাশে থাকা কর্তব্য । কারণ ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে ভারত সরকার নিরীহ কাশ্মীরিদের উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।কাশ্মীর ইস্যুকে অনেকে পাকিস্তানের সাথে মিলিয়ে এড়িয়ে যেতে চান । কিন্তু মুসলিমদের বোঝা উচিত কাশ্মীর ইস্যুর সাথে পাকিস্তানের কোন সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যে পূর্ব শত্রুতা আছে তা এখন মনে নিয়ে বসে থাকার কোন সুযোগ নেই। ৪৬ বছরে ইতিহাস অনেক বদলে গেছে । ভারতে বর্তমানে হিন্দুত্তবাদীদের উত্থান মুসলিমদের মনে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কোন সন্দেহ নেই। পাকিস্তান বাপ-দাদাদের শত্রু ছিল । কিন্তু আমাদের শত্রু যে ভারত সেটা যতদিন মুসলিমরা বুঝতে না পারবে ততদিন মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হবে না। শত্রু চিনতে না পারা মুসলমানদের বড় দুর্বলতা । এইবার শত্রু কে, আর মুসলিমদের ভারত নাকি পাকিস্তানের পক্ষে নাকি আজাদ কাশ্মীরের পক্ষে যাওয়া উচিত তা মুসলিমদেরই ভেবে দেখা উচিত। কাশ্মীর ভারতের ও নয় আর পাকিস্তানের ও নয়। কাশ্মীর আজাদী।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের ঐতিহাসিক জামা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। জুমার নামাজেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে । ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক সব বিচ্ছিন্ন থাকায় নতুন কোন আপডেট ও জানতে পারছে না কেও । ভবিষ্যতে ধর্ম পালনে আরো নতুন কোন বাধা আসে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়। জাতিগত নির্মূল কিংবা গণহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কাশ্মীরের ঐতিহাসিক জামা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। জুমার নামাজেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে । ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক সব বিচ্ছিন্ন থাকায় নতুন কোন আপডেট ও জানতে পারছে না কেও । ভবিষ্যতে ধর্ম পালনে আরো নতুন কোন বাধা আসে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়। জাতিগত নির্মূল কিংবা গণহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
No comments:
Post a Comment